নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সরকারি নির্দেশনা মেনে বরিশালে বিপণিবিতান খুলেছে, তবে সীমিত পরিসরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো খুললেও ক্রেতাদের ভিড় নেই। অনেকটাই ক্রেতা সংকটে ভুগছেন দোকানিরা।নগরীর হাসপাতাল রোড,মেজর এম এ জলিল সড়ক,বাংলা বাজার রোড,স্ব’রোড ও সাগরদী এলাকা ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।ব্যবসায়ীরা বলেন, সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে অল্প পরিসরে সকাল থেকে মার্কেট খুলেছি। তবে বেলা বাড়লেও মার্কেটে ক্রেতা নেই বললেই চলে। অনেক দোকানদার এখন পর্যন্ত বনিবনাকরতে পারেননি। যাও দুএকজন ক্রেতা মার্কেটে ঢুকছেন দেখে শুনে চলে যাচ্ছেন, কিনছেন না। জানি না আগামী দিনগুলো কী অবস্থায় যাবে বুঝতে পারছি না।
এ ব্যাপারে বটতলা এলাকার অরনেট ফ্যাশনের মালিক বলেন, সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল থেকে আমাদের এলাকায় সব ব্যবসায়ী দোকান খুলেছেন। সীমিত সময়ের জন্য দোকান খুললেও কাস্টমারের দেখা নেই। সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে গেলেও অধিকাংশ দোকানে সাইদ পর্যন্ত হয়নি। জানি না সামনের দিনগুলো কীভাবে যাবে।আজ বুধবার সকাল ৯টায় দোকান খুলেছি দুপুর ২টা বাজতে চললো এখন পর্যন্ত কাস্টমারের দেখা পাইনি বলে জানালেন কার্টপট্রি রোডের এক টেইলার্স ব্যবসায়ী ।
তিনি বলেন, প্রতিবছর এসময় দোকানে তিনজন লোক কাজ করতো। অর্ডার রাখা সহ কাটিং করে সময় পাইতাম না অথচ এই সময় লোক রাখা তো দুরের কথা সকাল থেকে বসে আছি দোকানে কোন কাস্টমার পর্যন্ত হয়নি।মার্কেটে ক্রেতা একেবারেই নেই বললেই চলে।
তবে সকাল থেকে প্রতিটি মার্কেট ও দোকানের প্রবেশ মুখেই হ্যান্ডস্যানিটাইজার ব্যবস্থা দেখা গেছে। শুধু তাই নয়, প্রত্যেক দোকানিই হ্যান্ডস্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রেখেছেন। কাস্টমার যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে হ্যান্ডস্যানিটাইজার দিতে উৎসাহিত করছেন বিক্রেতারা।তবে ভিন্ন চিত্র কাটপট্টি, চক বাজার ও গির্জা মহল্লা। ব্যস্ততম এলাকা হওয়ায় তারা কম বেশি বেচা বিক্রি হচ্ছে বলে খোজ নিয়ে জানা যায়।
ব্যবসায়ীরা বলেন, সরকার যে ঘোষণা দিয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আমরা সেটি মেনে চলছি এবং ক্রেতা সাধারণকেও সেটি মেনে চলার অনুরোধ জানাচ্ছি।সরকারের নির্দেশনায় গত ৩১ মে সারাদেশের মার্কেট ও দোকানপাট সহ সকল প্রতিষ্ঠান গুলো সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখা সিন্ধান্ত নেয় হয়। সেক্ষেত্রে প্রতিটি মার্কেট ও দোকানের ভীতরে প্রবেশের ক্ষেত্রে হ্যান্ডস্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘোষিত সতর্কতা প্রয়োগ করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, মরনব্যাথি করোনা ভাইরাসের কারনে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ধসনামে।এমন অবস্থায় ফের ঘুরে দাড়াতে সীমিত পরিসরে ব্যবসা-বাণিজ্য চালু রাখার সিন্ধান্ত গ্রহন করা হয়। তবে ক্রয়-বিক্রয়কালে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্য স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে। বড় শপিংমলের প্রবেশ মুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। শপিংমলে আসা যানবাহন অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
Leave a Reply